প্রতিবেদক,আল সামাদ রুবেলঃ সাংবাদিক পরিচয়ে কুমিল্লায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে বেশ কয়েকবার গণদোলাই খাওয়ার পরও নিজেকে সংসোধন করতে পারেন নি কথিত সাংবাদিক পরিচয় দান কারী মাহফুজ বাবুর।এরই মধ্য মাহফুজ বাবুর চাঁদাবাজী করতে গিয়ে মার খাওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে যাহা দেখে রীতিমতো অবাক হচ্ছে স্থানীয় পেশাদার সাংবাদিক বৃন্দ ।কথিত মাহফুজ বাবু বিভিন্ন পত্রিকার ভূয়া আইডি কার্ড ব্যবহার করে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায় করে৷ এতে বিপাকে পড়ছেন স্থানীয় পেশাদার সাংবাদিকরা ৷ স্থানীয়দের অভিযোগ,সাম্প্রতিক সময়ে মাহফুজ বাবুর নেতৃত্বাধীন কুমিল্লায় সাংবাদিক পরিচয়ে সংঘবদ্ধ কয়েকটি চক্র প্রতিনিয়ত মানুষ ও ব্যবসায়ীদের হয়রানি করে আসছে। বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়ি, কারখানা থেকে নিয়মিত চাঁদাবাজি করে আসছে। তবে হয়রানির ভয়ে কেউ মুখ খুলছে না। এদিকে মাহফুজ বাবু আলোচনায় আসে প্রয়াত আইনমন্ত্রী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মতিন খসরুর বিরুদ্ধে কটূক্তিমূলক মন্তব্য করায় আইসিটি মামলায় হয় ।বুড়িচং থানা মামলা নং-০৩ তারিখ-০৬/০২/২০১৯ ধারা:৪৫৪/৩৬ পেনাল কোর্ড-১৮৬০ উক্ত মামলায় তিন মাসের অধিক কারাবন্ধি থেকেছেন যা তখনকার সময়ে তার নিজ এলাকায় (কুমিল্লার ক্যান্টনম্যান্ট) চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। তার বিরুদ্ধে আইসিটি মামলা, চাঁদাবাজি মামলাসহ বেশ কিছু উক্ত আলোচিত মামলাটি এখনো চলমান রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয় ভুয়া সাংবাদিক মাহফুজ বাবু সহ জড়িত অপরাধীদের বিরুদ্ধে সঠিক তথ্য কেউ উপস্থাপন করতে পারে যথারীতি ব্যবস্থা নেয়া হবে৷ সম্প্রতি কুমিল্লার ক্যান্টনম্যান্ট এরিয়ায় ত্রাসের রাজত্ব গড়তে যাওয়া বাবুর নজর পড়েছে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের কষ্টার্জিত অর্থের দিকে। কুমিল্লার কোতোয়ালি থানাধীন ধনুয়াখালি গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী এবং বর্তমানে ঢাকায় ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসায়ী ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল এর সম্পাদক শাহ‌ আলম খান এর দিকে বেশ কয়েকবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক মেসেন্জারে কয়েকবার আর্থিক সহায়তার নামে অবৈধ্য ভাবে চাঁদা দাবী করে পরিবর্তিতে ব্যর্থ হয়ে মাহফুজ বাবুর ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডি (Mahfuz Babu)থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে অপব্যবহার করে উক্ত প্রবাসী শাহআলম খানের নামে মিথ্যা, বিভ্রান্ত ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করছে যা দেশের প্রচলিত আইন বহির্ভূত। এ নিয়ে কুমিল্লার বিভিন্ন সাংবাদিক বলেন তাঁর ব্যক্তিগত আইডির পাশাপাশি ভূয়া আইডি ব্যবহার করে আসছেন এবং প্রবাসীদের স্ত্রীদের টার্গেট করে নানা ছলচাতুরীর মাধ্যমে ফাঁদে পেলে তাদের সাথে অবৈধ শারীরিক সম্পর্কও গড়ে তোলার কথা ক্যান্টনম্যান্ট এরিয়ায়সহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জায়গায় প্রচলিত। উঠতি বয়সের মেয়েদের দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ী মহলকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে এমন অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে জনাব শাহ্‌ আলম খান সাংবাদিক দের জানান, মাহফুজ তার ব্যক্তিগত আইডিসহ বিভিন্ন ভূয়া আইডি থেকে আমাকে হেয় করার জন্যে অপপ্রচারের পাশাপাশি চাঁদাবাজিতে ব্যর্থ হয়ে সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুকে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার চালাচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে সামাজিকভাবে আমি হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি ও ব্যবসায়ীক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। এমতবস্থায়, আমার সার্বিক দিক বিবেচনা করে উক্ত ব্যক্তি মাহফুজ বাবুর নামে আমি পল্টন থানায় জিডি করেছি উক্ত জিডি নিয়ে আমি সাইবার ক্রাইমে মামলা করেছি আমি আশা করছি প্রশাসন তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনবেন যাতে করে আমার মত কেউ আর হয়রানি ও মিথ্যা অপপ্রচারের শিকার না হয়। শাহ ‌ আলম খান দৈনিক আমার সময় কে আরো জানান,আমি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি এবং ছাত্র জীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম এখনো জড়িত আছি,আমি পেশাদার সাংবাদিকদের অত্যান্ত সম্মান করি ভালোবাসি।কিন্তু এই অপ-সাংবাদিকদের দৌরাত্ম্য যদি স্বাধীনতার পক্ষের মানুষকে আক্রান্ত করে তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা আরো শোচনীয় হবে বলেও জানান তিনি। মাহফুজ বাবুর নামে কুমিল্লার স্থানীয় কয়েকজন পেশাদার সাংবাদিক জানান, শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উদ্যোগ নিলেই হবে না, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং সাংবাদিক ইউনিয়নকে ভুয়া সাংবাদিক চিহ্নিত করতে ব্যবস্থা নিতে হবে৷ নয়ত পেশাদার সাংবাদিকদের প্রতি মানুষের আস্থা বিশ্বাস কমে যাবে আর পেশাদার সাংবাদিকরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়বেন ।